মাহাবুবুর রহমান, কক্সবাজার :: কক্সবাজার সদর উপজেলা খুরুশকুল ছনখোলা সড়ক এখন মরণ ফাঁেদ পরিণত হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে গাড়ী দিয়ে চলাচল যেন এখন রীতিমত ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। কারণ একবার এই রাস্তা দিয়ে আসলে পুরু শরীর ব্যাথা হয়ে যায়। আর কোন গর্ভবতি মহিলা বা অসুস্থ ব্যাক্তি সড়ক দিয়ে যাতায়ত করলে তার অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়ে বলে জানান এলাকাবাসী। তাই দ্রুত এই সড়ক সংস্কারের আশায় এলাকার মানুষ চাঁদা তুলে সংশ্লিষ্ট মহলকে টাকা দিলেও এখনো পর্যন্ত সংস্কার হয়নি সড়কটি। এদিকে সড়ক সংস্কারের জন্য এলাকার মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে কাজ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সচেতন মহল।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলিয়া পাড়া ব্রীজের পাশ থেকে পিএমখালী ইউনিয়নের মধ্যে সংযোগকারী অন্যতম প্রাচীন গ্রাম ছনখোলা যাতায়তের একমাত্র মাধ্যমে প্রায় ২ কিলোমিটারের এই সড়কটি। কিন্তু বর্তমানে সড়কের কয়েক হাজার ছোটবড় গর্ত আর ইট উঠে গিয়ে একটি ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃস্টি হয়েছে। এতে কোন গাড়ী চলাচল করতে পারছেনা। আর কোন মতে চল্লেও গাড়ীতে থাকা যাত্রীদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ছে। তাই দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছে ছনখোলা গ্রামের সর্বস্থরের মানুষ।
এব্যাপারে ছনখোলা এলাকার সমাজ সেবক মোহাম্মদ আলম বলেন,পিএমখালী ইউনিয়নের সর্বশেষ গ্রাম ছনখোলা এলাকাতে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। এই এলাকা থেকে কক্সবাজার শহর থেকে যাওয়ার জন্য সব চেয়ে কাছের এবং সুবিধা জনক রাস্তা হচ্ছে ছনখোলা-খুরুশকুল সংযোগ সড়ক। যদিও রাস্তাটির প্রস্থ বেশি না হলে প্রায় এক যুগের বেশির সময় ধরে এই রাস্তা দিয়েই সিএনজি, মটর সাইকেল, রিক্সা, টমটম গাড়ী দিয়ে মানুষ নিরাপদে যাতায়ত করতো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সড়কটি আস্তে আস্তে ভাংতে থাকে। বর্তমানে এই সড়কে কয়েক হাজার গর্ত আছে। আর বৃষ্টি হলে বেশির ভাগ জায়গায় কাদাঁ জমে আর গাড়ী চলাচল করতে পারেনা। এমনকি মানুষ পায়ে হেটে পার হতে পারেনা এমন অকেজো হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত এই সড়কটি সংস্কার করা জরুরী। এছাড়া আমার জানা মতে এলাকার সর্বস্থরের মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলে টাকা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তার পরও কাজ না হওয়ায় আমরা হতাশ।
একই এলাকার আরেক সমাজ সেবক আবদুর রহমান সোহেল বলেন,আমার জানা মতে এই সড়কটি প্রথমে পায়ে হাটার পথ ছিল পরে আস্তে আস্তে মানুষের আনাগোনা বেড়ে গেলে ২০০৮ সালের দিকে তৎকালীন সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল প্রথমে একটি বরাদ্ধ দিয়ে সড়কে ইটের ব্যবস্থা করে। পরে খুরুশকুল অংশ সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার আবদুর রহিম কিছুটা কাজ করে, সড়কটি চলাচলের উপযোগি করে তুলে। এর পর থেকে কেউ এক টাকার কাজও করেছে বলে আমি দেখিনি। এর মধ্যে সড়কটিতে সিএনজি চলাচল অনেকটা বন্ধ হয়ে গেছে, কারণ এতবেশি ভাঙ্গা সিএনজি চলতে চায়না। আর রিক্সা,টমটম চলছেনা প্রায় ১ বছর হবে মোটকথা সড়কটি এখন কোনমতে পায়ে হাটা যায়। এর মধ্যে আমি শুনেছি এলাকার মানুষজন মিলে চাঁদাতুলে সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলকে টাকা দিয়েছে এর পর কেন সড়কটি মেরামত হচ্ছেনা বুঝতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে ছনখোলা এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মাস্টার অছিউর রহমান বলেন,এই সড়কটি আমাদের ছনখোলার ১০ হাজার মানুষের জন্য জীবন মরণ সমস্যা। কারন এই সড়কটি আমাদের জন্য সব চেয়ে দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম। বর্তমানে সড়কটি একেবারে অকেজো হয়ে পড়েছে কোন গাড়ী আসা যাওয়া করতে চায়না। ফলে গ্রামের অসুস্থ, বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলাদের আসা যাওয়ার জন্য খুবই কষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থা দেখে গত বছর(২০১৮ সালে) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য টেন্ডার করতে বল্লে তারা ফাইলটি উর্ধতন মহলে অনুমতির জন্য টাকা লাগবে বলে স্থানীয়দের জানালে আমরা এলাকার মানষ গণচাঁদা তুলে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। সেই টাকা স্থানীয় রমজান মেম্বার এবং এক রাজনৈতিক নেতার হাতে দিয়েছি উনারা ঘাটকুলিয়া পাড়া থেকে ছনখোল খুরুশকুল সড়ক পর্যন্ত দ্রুত টেন্ডার করার জন্য এক কর্মকর্তাকে আমাদের টাকা সহ আরো দ্বিগুন টাকা দিয়েছে বলে আমি জানি। তবে ১ বছর পেরিয়ে গেলেও কেন রাস্তাটি সংস্কার হচ্ছেনা সেটা বুঝতে পারছিনা। আর রাস্তাটি অকেজো হয়ে পড়ায় এলাকার সর্বস্থরের মানুষ সিমাহীন অসুবিধার মধ্যে আছে। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানা তিনি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ রমজান আলী বলেন, কোরবানের ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তাকে জিঙ্গেস করলে তিনি বলেছেন কয়েক দিনের মধ্যে টেন্ডার অনুমোদন হবে। তবে ঘাটকুলিয়া পাড়া রাভারডেম হতে ছনখোলা ঘাটপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি টেন্ডার হয়েছে। বাকি ঘাটপাড়া থেকে খুরুশকুল কুলিয়া পাড়া পর্যন্ত টেন্ডার হয়নি তাই এই রাস্তাটি আপাতত সংস্কার হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে রাস্তা সংস্কারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কাউকে টাকা নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও বিপুল পরিমান টাকা নেওয়ার পরও রাস্তা সংস্কার হচ্ছেনা জেনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ছনখোলা গ্রামের সর্বস্থরের মানুষ। তাদের দাবী দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
প্রকাশ:
২০১৯-০৮-১৭ ১৩:০২:০৩
আপডেট:২০১৯-০৮-১৭ ১৩:০২:০৩
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে সাঈদী
- রামুতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসল করতে গিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু
- চকরিয়ায় ধান ক্ষেত থেকে লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
- পেকুয়ায় চেয়ারম্যান পদে চমক দেখাতে পারে নারী প্রার্থী রুমানা আক্তার, গণসংযোগে গণজোয়ার
- চকরিয়ায় শাখাখালের তীর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটা
- রামুতে গাড়িযোগে পাচারকালে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: লড়াই চলছে শেয়ানে শেয়ানে
- চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর
- চকরিয়ায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- চকরিয়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার
- পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ পেলেন
- চকরিয়ায় প্রভাবশালীর কাছে জিম্মি অসহায় পরিবার
- চকরিয়ায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
- ব্যাপক উৎসাহ—উদ্দীপনায় সাংবাদিক সংসদের এক যুগপূর্তি উৎসব সম্পন্ন
- চকরিয়া-পেকুয়ায় দুই লবণ চাষী নিহত, উড়ে গেছে বসতঘর
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: লড়াই চলছে শেয়ানে শেয়ানে
- পেকুয়ায় চেয়ারম্যান পদে চমক দেখাতে পারে নারী প্রার্থী রুমানা আক্তার, গণসংযোগে গণজোয়ার
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ১১৪ টি ভোট কেন্দ্রে মোট ৩ লক্ষ ৬১ হাজার ১০৩ জন ভোটা
- চকরিয়ায় শাখাখালের তীর থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- রামুতে গাড়িযোগে পাচারকালে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ যুবক আটক
- চকরিয়ায় ধান ক্ষেত থেকে লম্বা অজগর সাপ উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
পাঠকের মতামত: